ফেসবুকে যাদের বিজনেস পেইজ আছে তারা অনেকেই পেইজ নিয়ে বর্তমানে কয়েকটা সমস্যায় পড়ছেন, তার মধ্যে অন্যতম প্রধান সমস্যা দুটি হল পেইজ আনপাবলিশ হয়ে যাওয়া এবং পেইজের Organic Reach নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ থাকা। এ ধরনের সমস্যায় পড়ার মূল কারনটা হল ফেসবুকের Community Standards পলিসিটা ঠিকঠাকভাবে ফলো না করা। যেমন খুব বেশি স্প্যামিং করা অথবা এমন পদ্ধতিতে পেইজে লাইক আনা যা ফেসবুকের দৃষ্টিতে পুরোপুরি অবৈধ! এসবের জন্যও অনেকের সাধের পেইজটাই আনপাবলিশ হয়ে যায়!
আবার কেউ কেউ স্প্যামিং করার জন্য একাধিক ফেসবুক একাউন্ট খুলে সেটা নিজের নামেই হোক অথবা ফেইক নাম দিয়েই – ফেসবুক পরবর্তিতে সেই প্রোফাইলগুলো ডিজাবল করে দেয় । স্প্যামিং ছাড়াও অনেকে আবার পেইজ ম্যানেজ করার জন্যও একাধিক ফেসবুক একাউন্ট খুলে তবে সাজেশন হচ্ছে ঐগুলোতে পেইজের সব এক্সেস দিয়ে একাউন্ট ডিএক্টিভ করে রাখা, আর একটা একাউন্ট চালু রাখা। পরে একটিভ থাকা একাউন্টটার কোন সমস্যা হলে, ডিএক্টিভ করা একাউন্টগুলোর কোন একটা একটিভ করে পেইজের প্রয়োজনীয় কাজটা সম্পাদন করা।
তাছাড়া পেইজ আনপাবলিশ হয়ে গেলেও আপনি চাইলে Appeal করতে পারবেন। অনেক সময় ফেসবুকের ভুলের কারনেও পেইজ আনপাবলিশ হয়ে যায়। আর তখন Appeal করার পরে ফেসবুক পেইজটা আবার পাবলিশ করে দেয়।
তবে নিম্মোক্ত এই বিষয়গুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকলে পেইজটা Unpublished অথবা পেইজের Organic Reach সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ থাকা থেকে রক্ষা পাবে –
১। নিজের নামে অথবা ফেইক নামে একাধিক ফেসবুক একাউন্ট খোলা থেকে বিরত থাকুন আর যদি একান্তই দরকার হয় তবে উপরে যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবে একাউন্টগুলোকে মেইন্টেইন করুন।
২। পেইজের এডমিন হিসেবে আপনি এমন কাজ করবেন না যেটা ফেসবুকের Community Standards পলিসিটা ভায়োলেট করে। পেইজে যদি আপনি ছাড়া আরো কেউ এডমিন থাকে তবে তাকে বা তাদেরকে এ ব্যাপারে গাইড করুন।
৩। পেইজের নামের সাথে পেইজের কাজের মিল নেই – এটাও পলিসি ভায়োলেশন। তাই আপনার বিজনেসকে রিপ্রেজেন্ট করে এমন নামই পেইজের জন্য নির্বাচন করুন। নাম দেখেই অডিয়েন্স যাতে আঁচ করতে পারে পেইজটা কী নিয়ে, এমন না যে অডিয়েন্স কনফিউজড হয়ে যাচ্ছে পেইজটা আসলে কী প্রোডাক্ট বা সার্ভিস অফার করছে।
৪। অনেকে কৃত্তিমভাবে পেইজের কোন পোস্টের হাইপ উঠায় যেমন গ্রুপে গ্রুপে শেয়ার দিয়ে অথবা ফেসবুকের পলিসি বিরুদ্ধ এমন কন্টেস্টের আয়োজন করে। আবার অনেকে পেইজ লাইকের অ্যাড দেয় এমন ছবি দিয়ে যেটা আসলে ঐ পেইজটার মূল উদ্দেশ্য অথবা পেইজটা কী রিপ্রেজেন্ট করছে সেটা গোপন করে। যেমন কারো ড্রেসের পেইজ কিন্তু অ্যাড দিয়ে পেইজে লাইক আনছে সেলিব্রেটি, কাবা শরীফ অথবা কোন জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলারের ছবি ব্যবহার করে। দয়া করে এটা করবেন না কারন শুধুমাত্র এই ধরনের Inauthentic Behavior পলিসি ভায়োলেট করার জন্য কিছু পেইজ আনপাবলিশ হতে দেখেছি।
৫। কোন ধরনের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এবং কোন ধরনের কন্টেনের অ্যাড দেওয়া যাবে না তা নিয়ে ফেসবুক অ্যাডের পলিসি আছে। এগুলো তোয়াক্কা না করে আপনি যদি ক্রমাগত ফেসবুকে অ্যাড দিয়ে পলিসি ভায়োলেট করতে থাকেন তবে ফেসবুক আপনার অ্যাড একাউন্টটি ডিজাবল করে দিবে এমনকি পেইজটিও হারাতে পারেন।
তাই লোভ সংবরণ করুন, নিজের মনকে স্থির করুন আর বিভিন্ন লোভনীয় সার্ভিসের অফার থেকে নিজেকে বিরত রাখুন যেগুলো আপনার পেইজকে ক্ষতি করতে পারে ভবিষ্যতে।
হ্যাপি ফেসবুক মার্কেটিং!